মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, লাল গ্রহের আবহাওয়া কিছুটা হলেও মনুষ্য বাস উপযোগী। তাই সেখানে থাকার জন্য ইতোমধ্যেই জায়গার খোঁজ শুরু করেছে নাসা।
সেই কবে থেকে গবেষণা চালাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা যে, পৃথিবীর উপরে ভার কমিয়ে মনুষ্য বসতি যদি গড়ে তোলা যায় অন্য গ্রহে! সুখের খবর হলো, আগামী ২০ বছরের মধ্যে মানুষ মঙ্গলে পা রাখতে সক্ষম হবে।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, লাল গ্রহের আবহাওয়া কিছুটা হলেও মনুষ্য বাস উপযোগী। তাই সেখানে থাকার জন্য ইতোমধ্যেই জায়গার খোঁজ শুরু করেছে নাসা।
বসবাস মানে, একটি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। অর্থাৎ, নাওয়া-খাওয়ার-ঘুমের মতো প্রতিদিনের জৈবিক ক্রিয়ার সঙ্গে ঘটবে যৌন ক্রিয়াও। এবং তার ফলে যে শিশুর জন্ম হবে, তাও স্বাভাবিক। এবং এখানেই সামান্য সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন গবেষকরা।
মঙ্গল গ্রহে যদি কোনও শিশু জন্ম নেয়, সে পৃথিবীতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে না। কারণ, লাল গ্রহের আবহাওয়া কিছুটা হলেও পৃথিবীর থেকে আলাদা। তাকে দেখতেও পৃথিবীর মানুষের থেকে আলাদা হবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। সেক্ষেত্রে এমনটাও হতে পারে যে, সেই শিশুকে পৃথিবীতে ‘এলিয়েন’ বলে অভিহিত করা হবে!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পোল্যান্ড ও ব্রাজিলের গবেষকদের রিসার্চের কথা প্রকাশিত হয়েছে ‘ফিউচার্স’ নামে একটি সায়েন্স জার্নালের জুন মাসের সংস্করণে।
তবে এই গবেষকদের মতে, মঙ্গলে যৌন সংসর্গ একেবারেই অসম্ভব। তার মূল কারণ সে গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ, যা পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ মাত্র। এর ফলে মানুষের শরীরে রক্তের চাপ কমে যাবে। যৌন মিলনের সময় যে প্রেসারের প্রয়োজন হয়, তা স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা কম থাকবে মঙ্গলে। এমনই তথ্য উঠে আসছে ‘টেক টাইমস’ নামে একটি সংবাদমাধ্যমে।
মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি, শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায় এই কম গ্র্যাভিটির ফলে। যা কোনও অন্তঃসত্ত্বা মহিলার জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে।
মঙ্গলে ‘সোলার রেডিয়েশন’ বেশি হওয়ার ফলে পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন গবেষকরা। এই সব সমস্যার ফলে গর্ভপাতের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
ফলে মঙ্গলে সঙ্গম সম্ভব হলেও, তার জটিলতা অনেক। আর যদি সন্তান জন্মায়ও তার জটিলতা আরও বেশি।